গর্ভাবস্থায় বমি হলে কোন ঔষধ খেতে হয় তা জেনে নিন। বমির ট্যাবলেট এর নাম, গর্ভাবস্থায় বমি না হওয়ার কারণ, বমি না হওয়ার ঔষধ কি ইত্যাদি। গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাস খুব গুরুত্বপূর্ণ, এসময় ইচ্ছা করলেই যেকোন ঔষধ খাওয়া যায়না। কিন্তু ঘন ঘন বমি বা বমিভাব হয়। খাবারে কোন রুচি থাকেনা, সবকিছুতে একটা আস্টি গন্ধ লাগে। সবমিলিয়ে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসব জানতে এই লেখাটা পড়ুন-
গর্ভাবতী মহিলাদের বমির ঔষধের নাম কি
গর্ভবতী মাহিলাদের জন্য যেসব বমির ঔষধ দেয়া হয়, এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ডাইক্লিজ প্লাস, ইমিডক্স-২০, পাইরিডক্স-২০ জোফরা, ইমিস্ট্যাট, এনসেট, পেলোক্সি, পেলোসেট, পেলোটিক ০.৫, ইত্যাদি।এখানে ৩ টি গ্রুপের গর্ভকালীন বমির ঔষধের নাম দেয়া হয়েছে। নিচে তার দামসহ বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
ডাইক্লিজ প্লাস (Dicliz plus) ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ডাইক্লিজ প্লাস ট্যাবলেট গর্ভবতী মহিলাদের বমির জন্য আদর্শ ও নিরাপদ ঔষধ। প্রেগন্যান্সির প্রথম ৩ মাস বমি অথবা বমির উদ্বেগ হলে, ১ টি করে ২ বার খাওয়া যাবে। কোন কিছু খাবার কিছুক্ষণ আগে ডাইক্লিজ প্লাস ১ টি ট্যাবলেট খেয়ে নিলে, বমির ভাব আর হবেনা। এটি সুসহনীয় হওয়ায় গর্ভের ভ্রুণের কোন ক্ষতি হয়না।
ডাইক্লিজ প্লাস প্রতি ট্যাবলেটের বাজারদর হতে পারে ১০ মিগ্রা টেবলেট ৫.০০, ২০ মিগ্রা টেবলেট ৯.০০ তবে ২০ মিগ্রা টেবলেট ই নিতে হবে।
ডাইক্লিজ প্লাসের মত আরো কিছু ঔষধের নাম বলে দেয়া আমার কর্তব্য, তাই এগুলোও জেনে রাখুন, যদি ডাইক্লিজ প্লাস না পান তাহলে কি ঔষধ খাওয়া বন্ধ রাখবেন? না, অন্য নামের আরো ঔষধ আছে, সেগুলো হলো- Emidox, NPV, Pyridox, Vertina D ইত্যাদি।
প্রেগন্যান্সিতে এনসেট ট্যাবলেট (Anset tablet) খাওয়ার নিয়ম
প্রেগন্যান্সিতে এনসেট ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন ১ টা করে বমির তীব্রতা বুঝে ২-৩ বার খাওয়া যাবে। তবে তা অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কতৃক প্রেসক্রিপশন করতে হবে। নিজ থেকে যদি খেতে চান, তাহলে ২ বারই খাবেন। এনসেট ট্যাবলেটের প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরী বি। যা গর্ভকালীন সময়ে খেতে কোন বাধা নেই। এনসেট ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়মেও ভিন্নতা নেই, খাবার আগে খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
এনসেট ৮ মিগ্রা টেবলেট গর্ভবতী মহিলাদের বমির জন্য খেতে হয়, তার বর্তমান বাজারদর ৮.০০
Anset এর মতো আর কিছু ঔষধের নাম- Apulset, Avona, Dentron, Emeren, Emeset, Emirest ODT, Emiset, Emistat, Zufra ইত্যাদি সবগুলোই বমি প্রতিরোধক ঔষধ।
প্রেগন্যান্সির বমিরোধক ঔষধ পেলোটিক বা পেলোসেট কিভাবে খেতে হয়
প্রেগন্যান্সির বমিরোধক ঔষধ পেলোটিক বা পেলোসেট প্রতিদিন ১ টা করে ১ বার খেতে হবে। এভাবে গর্ভকালীন ৩ মাস পর্যন্ত বা যতদিন বমি হয় ততদিন চালিয়ে যেতে হবে। এই ঔষধগুলো নিকটস্থ বাজারে যেকোন ফার্ম্মেসীতে পাওয়া যাবে। বর্তমান বাজারদর হতে পারে ২০.০০ করে প্রতিটা। এই ঔষধও খাবার আগে খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
এই জাতীয় আরো কিছু ঔষধের নাম- এই ঔষধের গ্রুপের নাম পেলুনোসেট্রন, অন্যান্য ঔষধগুলো হলো, Palon, Paloron, Paloset, Palosis, Palostar, Palostat, Palotic, Paloxi, Paloxiron ইত্যাদি।
গর্ভকালীন বমিভাব কতদিন থাকে?
গর্ভকালীন বমিভাব সর্বোচ্চ প্রথম ৩ মাসের মতো থাকতে পারে, কারো ক্ষেত্রে কিছু কমবেশি হতে পারে। তারপর থেকে বমি অথবা বমিভাব থাকেনা। তাই প্রথম ৩ মাস গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুব অস্বস্তিকর। এসব ঔষধ সেবন করলে বমিভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় বমির ট্যাবলেট এর নাম
গর্ভাবস্থায় বমির ট্যাবলেট এর নাম- জোফরা, এনসেট, ইমিষ্ট্যাট এগুলো অনডান্সেট্রন গ্রুপের ঔষধ। ডাইক্লিজ প্লাস হলো ডক্সিলামাইন+পাইরিডক্সিন ১০+১০ মিলিগ্রাম। পেলোক্সি হলো- পেলোনোসেট্রন ০.৫ মিলিগ্রাম, যার ডোজ হলো, প্রতিদিন ১ টি ট্যাবলেট।
আশাকরি গর্ভাবস্থায় বমি হলে কোন ঔষধ খেতে হবে এবং কিভাবে খেতে হয় তা জানতে পেরেছেন। গর্ভাবস্থায় বমির ট্যাবলেট এর নাম, গর্ভাবস্থায় বমি না হওয়ার কারণ, বমি না হওয়ার ঔষধ, আরো কোন বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াটসএপে না বলে, কমেন্ট করবেন।
আরো পড়ুন – গর্ভাবস্থায় কোন ঔষধ খাওয়া যাবে এবং কোনটা খাওয়া যাবেনা