লেবুর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়মসহ বিস্তারিত নিয়ে আজকের আলোচনা। লেবু আমাদের সবার পরিচিত একটা ফল, যা অত্যান্ত সহজলভ্য ও সারাবছর পাওয়া যায়। এতে প্রচুর খাদ্যশক্তি ও রোগ সারানোর মতো ঔষধি গুনাগুন আছে যা জানলে প্রতিদিন আপনার খাবারের মেন্যুতে থাকবে বলে মনে করছি। অত্যান্ত উপকারী এই লেবু সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
লেবুর পুষ্টিগুন
লেবুর প্রজাতি অনুসারে বিভিন্ন লেবুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, ফোলেট, পটাশিয়াম ও বিভিন্ন খনিজ উপাদানে ভরপুর। স্বস্তায় পাওয়া এই লেবুতে কি নাই! যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত উপকারী।
লেবুর উপকারিতা কি
লেবুর মধ্যে আছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যার ফলে আমাদের শরীরের কোষ এর ক্ষতি রোধ করতে অনেক সাহায্য করে। লেবু ক্ষতস্থান সারাতে সাহায্য করে। উচ্চরক্তচাপ কমায়, অতিরিক্ত চর্বি ও ওজন কমাতে রয়েছে লেবুর ব্যাবহার। লেবুর পুষ্টিগুন- রোগ প্রতিরোধে ও সুস্থতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। আজকে লেখার মধ্যে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে, নিচে লেবুর পুষ্ঠিগুন ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো দেখে নিন
লেবু স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
লেবুর রস সেবনকারী মহিলাদের মধ্যে এমন অনেক প্রমান পাওয়া গেছে যে, তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটা কম। ২০১২ সালের ১টি গবেষণায় হতে দেখা গিয়েছে যে, সাইট্রাস ফল মহিলাদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর জন্য ব্যাপকভাবে সাহায্য করে থাকে। ১৪ বছরের ও বেশি সময় ধরে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০,০০০ তথ্যের ১টি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যারা সব থেকে বেশি পরিমাণে সাইট্রাস ফল খেয়েছে তাদের ভিতরে স্ট্রোকের ঝুঁকি ১৯% কম ছিল।
২০১৯ সালের জনসংখ্যার ১টি গবেষণা থেকে জানা গেছে আমাদের মধ্যে যারা নিয়মিতভাবে সাইট্রাস ধরনের খাবার গ্রহন করছে তাদের ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকে রক্ষা পাচ্ছে।
লেবু ক্যান্সার প্রতিরোধ সাহায্য করে
লেবু বা লেবুর রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এর চমৎকার ১টি উৎস।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি রোধ করতে দারুন কাজ করে। যেটা আমাদের শরীরে ক্যান্সারের সেল নষ্ট করতে সাহায্য করে থাকে। তবে কিভাবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে তা অনেকটা অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
আয়ুর্বেদীক কবিরাজগন ক্যান্সার রোগীদেরকে পরামর্শ দেন- প্রতিদিন সকাল ও রাতে চার চামচ পরিমান লেবুর রস লবন ও চিনি ব্যতিত ২১ দিন পর্যন্ত খেলে কেমোথেরাপির মতো কাজ করে।
ধূমপায়ীদের জন্য লেবুর রসের টিপস
যারা ধূমপায়ী বিশেষ করে তাদের জন্য লেবুর শরবত নিয়মিত খেতে বলা হয়। কারন, তাদের শরীরে ক্যানসারের জীবাণু থাকার আশংকা থাকে। তবে এই শরবত তৈরীতে চিনি বা লবন ব্যাবহার করা যাবেনা। প্রতিদিনই কোন না কোন সময় লেবুর শরবত খেতে হবে। তাতে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন-সি পাওয়া যাবে। যেহেতু আমাদের দেশে কিউই ফল পাওয়া যায়না। তাই লেবু ই একমাত্র উৎস।
লেবু হাঁপানি প্রতিরোধে কাজ করে
হাঁপানিতে আক্রান্ত যে সকল মানুষেরা রয়েছে এবং সর্দি -কাশিতে ভুগে থাকেন, তারা যদি বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি ও তার সঙ্গে অন্যান্য যে সমস্ত পুষ্টিকর খাবারগুলো আছে, সেগুলো গ্রহণ করেন তবে এ্যাজমা বা হাঁপানির সক্রমণ অনেক কম হবে বলে ধারণা করা যায়। একগ্লাস কুসুম-গরম পানিতে আদালেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে এ্যাজমাজনিত কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানিরা গবেষণা করে প্রমাণ পেয়েছেন যে, ভিটামিন- সি ব্রঙ্কিয়াল হাইপারসেনসিটিভিটিতে আক্রান্ত যে সমস্ত ব্যক্তিরা রয়েছেন তাদের জন্য অনেক উপকারী।
আয়রন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
আয়রনের ঘাটতি হলো, রক্তাল্পতার ১টি প্রধান কারণ। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে যদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করা যায়, তবে আয়রনের ঘাটতি হতে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া গরম ভাতের সাথে লেবুর রস ছিটিয়ে খেলে সাইট্রিক এসিড তৈরী হয়। সাইট্রিক এসিডজাতীয় ভিটামিন- সি, ১টি উচ্চ পরিমাণে আয়রনের পরিপূরক খাবার হিসাবে পরিচিত। পালং শাক এর সঙ্গে সামান্য লেবুর রস চেপে খেলে আয়রন আর ভিটামিন সি উভয়ই গ্রহণ করা যায়।
লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী
ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারগুলো সাধারণ ঠান্ডা এবং ফ্লু সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য সাহায্য করে থাকে।
বিশেষ পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে যে, ভিটামিন- সি সর্দি-কাশির প্রকোপ কমিয়ে দেয় না, কিন্তু তা ঠান্ডা স্থায়ী হবার সময়কে কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি এমন মানুষদের ভিতরেও শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সাহায্য করে থাকে মূলত যারা শারীরিক ভাবে অনেক বেশি পরিমাণে দুর্বল। ১ গ্লাস গরম পানির মধ্যে ১ চামচ মধু দিয়ে এবং এর মধ্যে ১ টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেলে, কাশি কিংবা সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য স্বস্তি পাওয়া যায়।
লেবুর রস ওজন কমাতে সাহায্য করে
২০০৮ সালের ১টা গবেষণা থেকে জানা গেছে, যে সকল মানুষেরা ১২ সপ্তাহ ধরে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকেন তাদের ওজন তুলনামূলক অনেক বেড়ে যায়। আর যে সকল মানুষেরা চর্বিযুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খায়, এবং তার সঙ্গে লেবু গ্রহন করতেছে তাদের ওজন তুলনামুলক ভাবে অনেকটাই কম। লেবুর রস ও শসা একত্রে খেলে অতিরিক্ত চর্বি কেটে যায়।
২০১৬ সালে বডি মাস ইনডেক্স নামক সংস্থাটির ১টি গবেষনায় ৮৪ জন কোরিয়ান মহিলাকে ৭ দিনের জন্য, লেবু ডিটক্স ডায়েট অনুসরণ করার জন্য বলা হয়েছিল। আর তাদের মধ্যে যারা ফল ডিটক্স ডায়েট অনুসরণ করতে পেরেছেন তাদের থেকে অন্যান্য ডায়েটের তুলনায় ইনসুলিন প্রতিরোধ, শরীরের চর্বি, বিএমআই, শরীরের ওজন ও কোমর-নিতম্বের অনুপাতের উন্নতি দেখা গেছে।
রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
লেবু বা তার রস রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভুমিকা রাখে। ২০১৪ সালের একটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে যে জাপানের মহিলারা, যারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে হাটেন এবং নিয়মিত লেবুর রস গ্রহন করেন, তাদের মধ্যে রক্তচাপ কম ছিল অন্যান্য দেশের মানুষ এর তুলনায়। লেবু আমাদের শরীরের রক্তচাপ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে থাকে।
লেবুর বিভিন্ন প্রজাতি
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির লেবু পাওয়া যায়, এর মধ্যে কাগজিলেবু বেশ সহজলভ্য এবং পরিচিত। সারাবছরই কাগজীলেবু পাওয়া যায়। এছাড়াও জারালেবু, আদালেবু, বাতাবী লেবু, সাতকড়া নামক একটি লেবু জাতীয় ফল আছে। সিলেটে বেশী পাওয়া যায়। ইদানীং সীডলেস ও মিষ্টি লেবুও অনেক জায়গায় চাষ হচ্ছে। যদিও এগুলো আমাদের দেশীয় না, তারপরও বেশ জনপ্রিয় হতে যাচ্ছে মিষ্টিলেবু এবং সীডলেস লেবু। মিষ্টি লেবু অনেকটা কমলা লেবুর মতোই, তবে এই জাতীয় লেবুর রং সবুজই দেখা যায়। কোন কোন সময় আংশিক হলুদ হয়ে থাকে।
লেবুর খোসার উপকারিতা
লেবু কিন্তু শুধুমাত্র সুস্বাদু নয়, আপনাদের শরীরের স্বাস্থ্য, ত্বক আর চুলের জন্য ও বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে থাকে। কিন্তু আপনারা যদি রস বের করার পরে লেবুর খোসা ফেলে দেবার মত অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে এই অভ্যাস আজকে থেকেই ত্যাগ করতে হবে। কারণ আপনি জানলে অবাক হবেন যে, লেবুর খোসায় লেবুর থেকে ও বেশি পরিমাণে অর্থাৎ ৫ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত বেশি পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে?
বিশেষ করে জারা লেবুর খোসা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়, এটি অনেক মোটা ও মিষ্টি হয়। যাদের খাবারে অরুচি থাকে, জিহ্বায় স্বাদ পাওয়া যায়না, তারা যদি একনাগারে কিছুদিন জারা লেবুর খোসা ভাতের সাথে খায়, রুচি ফিরে আসে। আবার অনেক এলাকায় আদালেবুর খোসা কেটে শুকিয়ে বিভিন্ন তরকারীতে দিয়ে রান্না করে, একটু তিক্তস্বাদ হলেও খেতে খুব ভাল লাগে।
লেবুর খোসায় মধ্যে আছে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও ফাইবারের মতো ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম তারপরে ভিটামিন সি তো আছেই, যেটা আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। লেবুর খোসায় ভিতরে কিছু স্বাস্থ্যকর এনজাইম আছে, যেটা আমাদের স্বাস্থ্যকর ভাবে জীবনযাপন করার জন্য সাহায্য করে থাকে। সুতরাং, লেবুর খোসা ফেলে দেবেন না, তাহলে হয়ত অনেক মুল্যবান খাদ্যশক্তি থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। আশা করি যে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
সাতকরা নামক একধরনের লেবু আছে, যা সিলেট এবং ভারতের কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়, এগুলো রোদে শুকিয়ে সারা বছর সংগ্রহ করা যায়। ডাল বা মাংসের তরকারির স্বাদ বাড়ানোর জন্য দেয়া হয়। খেতেও বেশ স্বাদ হয়। এই খোসা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও হয়ে থাকে। এই খোসার তরকারি মুখরোচক হিসাবেও বেশ খ্যাতি আছে।
লেবুর খোসা হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে কার্যকর
লেবুর খোসার মধ্যে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম যেটা আমাদের শরীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ও বজায় রাখার জন্য সাহায্য করে। আর এটা প্রদাহজনক পলিআর্থারাইটিস, অস্টিওপোরোসিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো হাড় সম্পর্কিত রোগ প্রতিরোধে এর মত কাজে সহায়তা করে থাকে। বিশেষ করে অস্থিমজ্জা পুনর্গঠনে ব্যাপক ভুমিকা রাখে লেবুর খোসা খেলে।
কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়
লেবুর খোসার মধ্যে পলিফেনল ফ্ল্যাভোনয়েডের উপস্থিতির কারণে এটা আমাদের শরীরের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখার জন্য কাজ করে থাকে। লেবুর খোসা রক্তচাপ ঠিক রাখার জন্য সাহায্য করে। আর এসব বাদেও, লেবুর খোসা কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রেখে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
লেবুর খোসা অন্ত্রের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এবং তার সঙ্গে আমাদের শরীরে হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে। আমাদের এনজাইম প্রক্রিয়াকে পুনর্গঠন করতে লেবুর খোসার বেশ ভুমিকা আছে। ভিটামিন সি আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের সংক্রমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
সাতকরা জাতের লেবুর উপকারিতা
সাতকরা নামক লেবুজাতীয় ফলের জনপ্রিয়তা দেখা যায় বাংলাদেশের সিলেটে, এবং ভারতে কয়েকটা অঞ্চলে। এজাতীয় লেবুর স্বাদ হালকা তিক্ত হলেও ডাল বা মাংসের তরকারীর স্বাদ বাড়াতে এর জুরী নেই। কারো যদি খাবারে অরুচি থাকে, তাহলে তাকে সাতকরা দিয়ে তরকারী রান্না করে দিবেন। রুচি ফিরে আসবে, এবং অন্যন্য দিনের চেয়ে এদিনের খাবার খুব তৃপ্তি সহকারে খাবে। তবে খুব সীমিত করে অর্থাৎ ২-১ টুকরো দিতে হবে। বেশী হলে আবার তিতা হওয়ার আশংকা থাকে।
লেবুর খোসা সংগ্রহ করার পদ্ধতি
লেবুর খোসাগুলো শুকিয়ে নেবেন এবং পরিস্কার করে আটাকলের সাহায্যে তা গুড়ো করে নিতে পারেন। তারপর এই পাউডারগুলো দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে পারেন ও বিভিন্ন ধরনের কাজে বিভিন্ন ব্যবহারে লেবুর খোসা কাজে লাগাতে পারেন। ডাল বা তরকারীতে সামান্য পাউডার ছিটিয়ে দিলে এতে স্বাদ অনেক বেড়ে যায়।
তবে অতিরিক্ত লেবুর খোসার গুড়ো তরকারি তিতা করে ফেলে। এই পাউডার দিয়ে ঘরে তৈরি অ্যান্টি-এজিং ফেসিয়াল টোনার হিসাবেও ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
লেবুর অপকারিতা
সকল জিনিসের জীবন ভালো দিক এবং খারাপ দিক রয়েছে ঠিক সেরকমভাবে লেবুর উপকারী দিক এর সঙ্গে সঙ্গে কিছু খারাপ দিক ও রয়েছে। নিয়মিত লেবুর রস সেবনকারী এসিডিক সমস্যায় ভুগতে পারেন। কারো যদি এসিডিটি বেশী পরিমানে থাকে, তাহলে লেবুর রস খেতে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।
লেবু অনেক অম্লীয়, যেটা আপনাদের ত্বকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জ্বালাপোড়া করতে পারে। আপনার ত্বক যদি সেনসেটিভ হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে ত্বকে লেবু ব্যবহারে আপনার চামড়া জালা পোড়া করতে পারে। আপনাদের মধ্যে যাদের ত্বক সেনসেটিভ কিংবা সংবেদনশীলতা আছে, সেই সমস্ত মানুষদের ক্ষেত্রে ত্বকে লেবুর প্রয়োগ হতে অবশ্যই দূরে থাকা দরকার।
সাইট্রাস ফলগুলি প্রয়োগ করলে আপনার ত্বক রোদে পোড়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। সরাসরি একদম সূর্যের আলোতে বাইরে যাবার আগে কখনও লেবু লাগাবেন না আপনাদের ত্বকের ভিতরে।
অনেক গবেষণায় থেকে দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত ভাবে লেবুর রস আমাদের শরীর এর হাড় ক্ষয়ে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেবু ধীরে ধীরে হাড়ের জয়ন্টগুলোর রস কিংবা তেল শোষণ করে দেয়, যার কারনে হাড় ক্ষয় হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
আরও পড়ুন – তালমাখনার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম