হারবাল চিকিৎসা কি ? অনেকের ধারনা হারবাল চিকিৎসা একধরনের প্রতারনা, বা অযথা টাকা নস্ট করার একটা অপচিকিৎসা! আসলে কি তাই? আসুন আজ জেনে নিই, হারবাল চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত।
হারবাল চিকিৎসা কি
হারবাল চিকিৎসা হলো সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা। যখন পৃথিবীতে চিকিৎসা বলতে কিছু ছিলনা, তখনই বৈদিক চিকিৎসার মাধ্যমেই রোগ নির্নয় ও নিরাময়ের জন্য যে চিকিৎসা করা হতো সেটাই বর্তমান হারবাল চিকিৎসা। কয়েক হাজার বছর ধরে এই চিকিৎসার মাধ্যমেই কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হয়ে আসছে।
হারবাল চিকিৎসা কতটা নিরাপদ
হারবাল চিকিৎসা সবচেয়ে বেশী নিরাপদ, কারন এতে থাকেনা কোন অতি মাত্রায় রসায়ন মিশ্রিত ক্ষতিকর কেমিক্যাল, তাই মারাত্মক সাইড এফেক্ট হওয়ার কোন ঝুঁকি নেই। বরং বিষাক্ত কোন গাছ কন্দ মুল বা বীজকে শোধিত করে, বিষমুক্ত করে ঔষধে রুপান্তর করা হয়। যেন বিষের প্রভাবমুক্ত হয়ে, ঔষধি গুন ব্যবহৃত করা যায়। তাই নিঃস্বন্দেহে বলা যায় হারবাল চিকিৎসা সবচেয়ে নিরাপদ।
হারবাল চিকিৎসায় সাইড এফেক্ট আছে কি
হারবাল চিকিৎসায় উল্লেখ যোগ্য কোন মারাত্মক সাইড এফেক্ট নাই। অনেক সময় কোন হারবাল ঔষধ নির্বাচনে কোন ত্রুটি হলেও, রোগীর জীবন বিপন্ন হওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। হয়ত বিরল ক্ষেত্রে পেটে সামান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, বা পাকস্থলীর গোলযোগ দেখা দিতে পারে। তবে তা সাময়িক সময়ের জন্য, চিকিৎসা বন্ধ করে দিলে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসে। এছাড়া তেমন কোন সাইড এফেক্ট এর প্রমান পাওয়া যায়নি।
এর কারন, হারবাল ঔষধ তৈরি হয় মুলত, গাছ, ফল, মুল, কন্দ, ছাল ও বীজ থেকে। এবং যেগুলো অপরিশোধিত খেলে সমস্যা হতে পারে, সেগুলোকে শোধন না করে ঔষধের জন্য বাচাই করা হয়না। যেমন ধুতরা ও করবী সহ বেশ কিছু গাছ আছে যেগুলো বিষাক্ত, এগুলোর ব্যবহারও কম অথবা নেই বললেই চলে।
হারবাল চিকিৎসায় কি রোগ ভাল হয়
হারবাল চিকিৎসায় শুধু রোগ ভাল হয়না, এই রোগকে পুনরাগমনেও বাধা প্রধান করে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো – আপনি একটি নির্দিষ্ট রোগের জন্য খেলেও, শরীরে থাকা আরেকটি রোগও ভাল হয়ে যেতে পারে। লক্ষ্য করে দেখবেন, একসময় রাস্তার ধারে হকাররা বিবরন বলতে গিয়ে, বলতো একটা হারবাল ঔষধে হাজারটা রোগের উপকার করে।
হারবাল চিকিৎসা ও আমাদের প্রতিক্রিয়া
হারবাল চিকিৎসায় আমাদের অনেকের এ্যালার্জি আছে, এবং তা থাকারই কথা। কারন কিছু অসাধু কোম্পানি বা ব্যবসায়ীরা তড়িৎ কার্যকারীতা দেখানোর জন্য, অথবা বেশী মুনাফার জন্য, ভেষজের পরিবর্তে কেমিক্যাল ব্যবহার করে। তাতে নগদ কাজ করে দেখিয়ে দেয়। আর রোগীরা তাদের অজ্ঞতা এবং অধৈর্য্যের কারনে এসব কিনে প্রতারিত হয়ে, বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানায়।
এভাবে চলতে থাকলে, একসময় হারবাল চিকিৎসা বিলুপ্ত হতে পারে। তাই প্রকৃত হারবাল চিকিৎসা নিতে হলে, জানতে হবে এই চিকিৎসায় কতদিনে রেজাল্ট আসবে। যদি বলে সাথে সাথেই কাজ করবে। বুজতে হবে, এটাতে ভেষজ নাই, শুধু কেমিক্যাল দিয়েই তৈরী করা। প্রকৃত ভেষজ ঔষধের কার্যকারীতা শুরু করতে ১০-১৫ দিন সময় লাগতে পারে।
হারবাল চিকিৎসা কোথায় পাওয়া যাবে
হারবাল চিকিৎসা নিজেই নিতে পারবেন। আপনার নিকটস্থ বাজারে বানিয়াতির দোকান থেকে, হার্বস কিনে নিয়ে মিশ্রন তৈরি করবেন। অথবা কোন হেকিম, বৈদ্য বা কবিরাজের পরামর্শ নিতে পারেন। অবশ্য এই পরামর্শের জন্য সম্মানী প্রদান করবেন। তাও যদি না পারেন, হারবাল ষ্টোর থেকে বিভিন্ন উপাদান কিনে নিয়ও নিজে তৈরী করতে পারবেন। অথবা তৈরি করা ভেষজ ঔষধ কিনে নিয়মানুযায়ী সেবন করলে ইনশাআল্লাহ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পুরুষের দুর্বলতার গ্যারান্টিযুক্ত চিকিৎসা
পুরুষের দুর্বলতার গ্যারান্টিযুক্ত চিকিৎসা নিতে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ইনশাল্লাহ আপনাকে এতটুকু আশ্বস্থ করতে পারি, আমার চিকিৎসায় আপনি অন্য একজন সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের মতোই স্ত্রীকে আনন্দ দিতে পারবেন। এবং নিজেও আগের চেয়ে অনেক বেশি আনন্দ পাবেন। যদি কথা অনুযায়ী কাজ না হয় তাহলে এখানে কমেন্ট করে জানাবেন। অথবা ক্ষতিপুরন দাবী করবেন আইনীভাবে। ১ মাসের চিকিৎসা ব্যায় ৪৫০০ টাকা, অর্থাৎ ৩০টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যাপসুল যার মধ্যে আছে স্থায়ী হারবাল চিকিৎসার উপাদান শিলাজিত, আম্বর মোম ও মৃগণাভী সহ মহামূল্যবান হারবাল উপাদান। যা আগেকার ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত পরিবারের পুরুষেরা এসব খেয়ে একাধিক স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করতো। আপনি আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন যে, আমি আপনাকে সঠিক ঔষধটাই দিবো। যদি চিকিৎসা নিতে ইচ্ছুক হন আমার হোয়াটসএ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। Whatsapp- 01719551547 তবে অনুরুধ থাকবে যখন তখন কল দিবেননা।
আমরা নিঃস্বার্থভাবে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সচেতন করে থাকি। যদি কোন তথ্যে গড়মিল থাকে, অবশ্যই কমেন্ট করে সংশোধন করার তাগিদ দিবেন। এতে আরও অন্যান্যদের জন্য উপকার হবে। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
আরও পড়ুন – শতমুলের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন