আলকুশি বীজের পাউডার একটি প্রাকৃতিক শক্তির উৎস, যা শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। এই আলকুশির শোধিত বীজের পাউডার মানবদেহের পুষ্টিহীনতা পূরণ করতে সাহায্য করে এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব দূর করে, সেই সাথে ছোট বড় অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
আলকুশির শোধিত বীজের পাউডারের খাদ্য গুন
শোধিত আলকুশি বীজের পাউডারে খাদ্যগুন হিসাবে যা আছে- যেমন বিভিন্ন রকম ভিটামিন, মিনারেলস, উচ্চশক্তির প্রোটিন, প্রচুর ফাইবার ও অ্যামিনো অ্যাসিড। এগুলো আমাদের সকলের জন্য সুস্থ ও অসুস্থ প্রত্যেকেরই আদর্শ সম্পুরক খাদ্য।
পুরুষদের জন্য আলকুশির শোধিত বীজের উপকারিতা
আলকুশির শোধিত বীজের গুড়া বা পাউডার প্রত্যেক পুরুষদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে, কোন হারবাল চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ২ মাস সেবন করলে- বীর্য গাঢ় হবে, টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়বে, পুরুষের বন্ধাত্ব দূর করে, শুক্রাণু বাড়িয়ে সন্তান জন্মদানে উপযোগী করে তুলবে। এবং সহবাসের টাইমিং বাড়াতে সহায়তা করে।
শোধিত আলকুশির বীজের পাউডারের পুষ্টিগত উপাদান:
শোধিত আলকুশি বীজের পাউডারে যেসব খাদ্য উপাদান থাকে, তা হলো- ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম- হাড় পুনঃগঠনে কার্যকর, আয়রন- রক্তস্বল্পতা দূর করে, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আমিনো অ্যাসিড ইত্যাদি সহ প্রাকৃতিক পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর। এই উপাদানগুলি শরীরের প্রতিটি কণিকাকে পুষ্টির যোগান দেয় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয় বলে ভেষজ চিকিৎসকগন মনে করেন।
আলকুশি বীজের পাউডারে উচ্চ মাত্রায় রোগপ্রতিরোধের উপাদানের কারণে এই বীজের পাউডার ক্ষতিকর টক্সিন প্রতিরোধে কার্যকরী হতে পারে। আলকুশি বীজ এন্ট্রি রেডিকালগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক হিসাবেও স্বীকৃত।
আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন আলকুশির বীজকে সবজি বা ডাল হিসাবে খেয়ে থাকেন, কারন এর মাধ্যমে ফাইবারের ঘাটতি পুরন হয়, শর্করা কমায় এবং হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে।
আলকুশির বীজ শোধন করার নিয়ম
আলকুশির বীজ শোধন করার জন্য একটি পাত্রে বীজের দ্বিগুন দুধ নিয়ে উত্তপ্ত করতে হবে। তারপর কাঁচা আলকুশির ঢেলে নাড়তে হবে। আলকুশির বীজের ভিতর পর্যন্ত ভালভাবে উত্তপ্ত দুধ প্রবেশ নিশ্চিত হলে, এবং দুধের পরিমাণ বীজের সমান হলে নামিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিবেন। গুড়া করার উপযুক্ত হলে গুড়া করে বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
আলকুশি বীজ খাওয়ার নিয়ম
আলকুশির শোধিত বীজ প্রতিদিন সকাল ও রাতে এক গ্লাস দুধের সাথে ২ চামচ মিশিয়ে, সামান্য নেড়ে খেয়ে নিতে পারেন।
আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসাবে আলকুশি চুর্ণ
আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসাবে আলকুশি চুর্ণ তৈরী করতে হলে, প্রতিটা ট্যাবলেট অথবা ক্যাপসুলে ৫০০ মিগ্রা হিসাবে তৈরি করা উচিত। এতে করে প্রত্যেক রোগীদের রোগের তীব্রতার উপর ১-২ টি টেবলেট অথবা ক্যাপসুল দিনে ২ বার। সর্বোচ্চ মাত্রা ৪ গ্রামের বেশী যেন না হয়।
আরও পড়ুন – বিষধর সাপে কাটলে কি করবেন