কোন ব্যথায় কি ঔষধ খাবেন | ব্যথার ঔষধের নাম সহ বিস্তারিত

কোন ব্যথায় কি ঔষধ খাবেন এবং কিভাবে খাবেন, ব্যথার ঔষধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম সহ বিস্তারিত জেনে নিন। কারন, ব্যথার ট্যাবলেট সেবনে অসাবধানতার জন্য অনেক সময় রোগীর মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। তাই সময় থাকতে জেনে নেয়া দরকার। আজকে যতধরনের ব্যথা আছে সবগুলো নিয়েই আলোচনা করবো।

শরীর ব্যথার ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল

শরীর ব্যথার ট্যাবলেট সাধারনত কোন কাজ বা খেলাধূলার কারনে যদি এই ব্যথার সৃষ্টি হয়, তাহলে অতি সাধারণ NSAID জাতীয় ট্যাবলেট খেলেই সেরে যাওয়ার কথা। প্যারাসিটামল ৫০০ মিগ্রা বা ৬৬৫ মিগ্রা টেবলেট দিনে ৩ বার ১-২ দিন খেতে পারেন। নাপা, এইস, পাইরিনল, রিসেট ইত্যাদি নামে পাবেন।

তারপরও যদি শরীরের ব্যথা না কমে, অর্থাৎ মাংস পেশীর ব্যথা থেকে যায়। তাহলে এসিক্লোফেনাক ১০০ জাতীয় ট্যাবলেট দিনে ২ বার, খাবার পর সেবন করতে পারেন। তবে তার আগে একটি করে এন্টি আলসারেন্ট ঔষধ খাওয়ার আগে খেয়ে নিতে হবে। বাজারে প্রচলিত এসিক্লোফেনাক এর মধ্যে – রিজারভিক্স, এপিক্লো, এসিফেনাক, ফ্লেক্সি, মারভেন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।

দাঁতের ব্যথার ঔষধের নাম

দাঁত ব্যথা হলে কত যে কস্ট হয়, যার হয়েছে সে বুঝে। অনেক সময় তো অজ্ঞান হতেও দেখেছি। তবে, দাতের ব্যথার কারন না জেনে শুধু শুধু ব্যথার ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়। কেন হয়েছে তা জেনে নিতে হবে। এর জন্য কোন বিডিএস ডেন্টাল ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার পাওয়ার আগ পর্যন্ত হয়ত ১-২ টি পেইন কিলার ট্যাবলেট খেতে পারেন। ইটোরিকক্সিব ৬০-৯০ ও ১২০ মিগ্রা হয়ে থাকে। ১৬ বছরের বেশী বয়স বা ৩০ কেজির শারীরিক ওজন হলে আপনি ইটোরিকক্সিব খেতে পারবেন।

ব্যথার অবস্থা ও শারীরিক গঠন হিসাব করে ৬০- ১২০ মিগ্রা ইটোরিকক্সিব ট্যাবলেট ভরা পেটে খেতে হয়। কখনই খালি পেটে খাওয়া যাবেনা। শিশুদেরকেও খাওয়ানো যাবেনা। এই ঔষধ খাওয়ার আগে অবশ্যই গ্যাস্ট্রিকের খেতে হবে। ইটোরিকক্সিব ৯০ ও ১২০ ট্যাবলেট দিনে ১ বার এর বেশী খাওয়া যাবেনা।

ইটোরিকক্সিব ট্যাবলেট দীর্ঘদিন খাওয়া যাবেনা। তাই, ব্যথা কমলেও একজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলবেন। কয়েকটি ব্র্যান্ডের নাম সাজেস্ট করতেছি। ইটোরিক্স, টোরি, ইটোকক্স, ইত্যাদি নামে ফার্মেসীতে পাওয়া যায়। তবে এই তিনটাই ভাল মানের। এরকম ভাল মানের আরও আছে, লেখা বড় হয়ে যাবে তাই তিনটাই দিলাম।

হাড়ের ব্যথার ট্যাবলেট

কোনভাবে হাড় ভেঙ্গে গেলে অথবা মচকে গেলে হাড়ের ব্যথার ঔষধ খেতে হয়। তবে শুধু ব্যথার টেবলেট খেলেই কিন্তু সমাধান হয়না। ক্ষতিগ্রস্ত হাড়কে পুনরুদ্ধার করার জন্য পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন খেতে হয়। আমি হাড় ব্যথার ট্যাবলেটটি কি বলতেছি শুধু। কেটোরোলাক ১০ মিগ্রা জাতীয় টেবলেট ব্যথার তীব্রতা অনুযায়ী দৈনিক ২-৩ বার খাবারের পর খেতে পারবেন। অবশ্যই শিশুদের জন্য নয়। বয়স ১৬ বছরের বেশী হতে হবে। সাথে গ্যাস্টিকের ঔষধতো লাগবেই।

কেটোরোলাক ট্যাবলেট দীর্ঘ দিন খাওয়া যাবেনা। ব্যথার পুর্নাঙ্গ চিকিৎসা নেয়ার জন্য একজন অর্থোপিডিক্স ডাক্তার বা সার্জনের প্রয়োজন হলে, সার্জন দেখাতে হবে। কয়েকটি কেটোরোলাকের নাম হলো- রোলাক ১০, এনালাক, এটোরেক, টোডল, ইত্যাদি দাম ১০ টাকা করে।

জয়েন্টের ব্যথার ঔষধের নাম

জয়েন্টের ব্যথায় বা জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা হলে ন্যাপ্রোক্সেন এর ইসোমিপ্রাজল সহ দিনে ২ বার সর্বোচ্চ ১৫ দিন পর্যন্ত খেতে পারবেন। তাতেও যদি ব্যথা না কমে, তাহলে একজন অর্থোপেডিক্স ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে নিতে হবে। ন্যাপ্রোক্সেন গ্রুপের ঔষধগুলো হলো- ন্যাপ্রো এ প্লাস, ন্যাপ্রোসেন, নেসো ইত্যাদি।

রগের ব্যথার ট্যাবলেট বা ক্যাপস্যুল

রগের ব্যথার জন্য অনেক সময় অনেকেই ভুল ঔষধ খেয়ে থাকেন। এটা রিস্কি, কারন ব্যথার ঔষধ তো এমনিতেই বেশীদিন খাওয়া ঠিকনা। তারউপর যদি ভুল ঔষধ খেয়ে যান, তাতে তো সমস্যা একটা থেকে আরেকটায় চলে যেতে পারে। তাই নিউরোলজিস্ট ডাক্তার ব্যতিত রগের ব্যথার ঔষধ খাবেননা। আমি দুইটা সাজেস্ট করতেছি, আপাদত ব্যথা কমবে, কিন্তু ডাক্তার দেখাতে হবে অবশ্যই। মিকোবালামিন জাতীয় ট্যাবলেট দিনে ৩ বার খেতে পারেন। তাতেও যদি আশানুরূপ ফল না আসে, তাহলে প্রিগাবালিন ২৫-৭৫ পর্যন্ত মিলিগ্রাম হয়ে থাকে। ২৫ থেকে ট্রাই করতে পারেন। দিনে ২ বার খাবার পর খেতে হয়।

এটা অবশ্যই ক্রনিক পেইনের জন্য ভাল। মানে দীর্ঘদিন ব্যথায় ভুগছেন এমন রোগীরা এটা বেশীদিন খেতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যদি মাথা ঘুরায় তাহলে বাহিরে কোন কাজ করতে যাওয়া যাবেনা। বাসায় শুয়ে বসে থাকতে হবে, যতদিন মাথা ঘুরানো না কমবে। মিকোবালামিন বা প্রিগাবালিন দুটো আলাদা ঔষধ হলেও কাজ সেইম, তাই দুইটা একত্রে খাওয়া যাবেনা। এর সাথে এমিট্রিপটাইলিন ১০-২৫ মিলিগ্রাম প্রথমে অর্কটা দিয়ে শুরু করতে পারেন, দিনে ১ বার। ৪-৫ দিন পর ১ টা করে দিনে ১ বার খেতে পারেন।

পেট ব্যথার ঔষধ বা ট্যাবলেট

পেট ব্যথা বিভিন্ন কারনে হতে পারে, তবে বেশীরভাগ গ্যাস্ট্রিক, ফুড পয়েজনিং এবং পাথর থেকে হতে পারে। আমি শুধু ব্যথা নিয়ে লিখতেছি, তাই প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথা কমানোর জন্য টাইমোনিয়াম মিথাইল সালফেট জাতীয় কোন ঔষধ খেতে পারেন, খালি পেটে বা ভরা পেটে দিনে ৩ বার খেতে পারবেন। সাথে এন্ট্রি আলসারেন্ট ঔষধ খেতে হবে। ব্যথা বেশী হলে একটা এমিট্রিপটাইলিনও (১০মিগ্রা) খেতে পারেন। ব্যথা কমলে কারন জেনে ডাক্তার দেখাবেন। না হলে তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে এবং বড় সমস্যা থাকলে তা দিন দিন বাড়তে পারে।

থাইমোনিয়াম মিথাইল সালফেট এর কয়েকটি ঔষধের নাম হলো- এলজিন ৫০ মিগ্রা, ভিসেট, ভিসেরাল, ভিসেরালজিন ইত্যাদি সবগুলোই ভাল। এগুলোর সিরাপ ও ইঞ্জেকশনও আছে। শিশুরাও খেতে পারবে। তবে মাত্রা নির্ধারনের জন্য হলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম

ঠান্ডা বা আইস জাতীয় পানি অথবা যেকোন কারনে গলা ব্যথা হলে, গলার স্বর ভঙ্গসহ প্রচন্ড ব্যথা হয়। অনেক সময় কথা বলতে কস্ট হয়। এই গলা ব্যথার জন্য লবন পানি গরম করে, গার্গল করলে আরাম পাওয়া যায়। সাথে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ১ টা করে ৩ বার খেতে পারেন। এবং একটি এন্টিহিস্টামিন খেলে তারাতরী কমে যেতে পারে। এর জন্য ফেক্সো-ফেনাডিন ১২০ বা বয়স অনুযায়ী ৬০-১২০ মিগ্রা দৈনিক ১ বার ৩ দিন খেতে পারেন। তাও যদি না কমে একজন সাধারণ রেজিস্টার্ড ডাক্তার দেখাতে পারেন।

বাচ্চাদের দাঁত ব্যথার ঔষধ কি

বাচ্চাদের দাঁতের ব্যথার উপক্রম প্রায়ই দেখা যায়। দুধদাঁত হওয়ায় ব্যকটেরিয়ার আক্রমণ বেশী থাকে। এর জন্য আইবুপ্রোফেন জাতীয় সিরাপ ২ বার দিনে খাওয়াতে পারেন। অবশ্যই ভরা পেতে ও বাচ্চাদের এন্টি আলসারেন্ট প্রয়োজন হতে পারে। তবে কোন অবস্থাতেই ইটোরিকক্সিব বা কেটোরোলাক খাওয়াতে পারবেননা। এতেও যদি না কমে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। অন্যান্য ব্যথায়ও প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন ছাড়া অন্য ঔষধ খাওয়ানো যাবেনা।

কয়েকটি আইবুপ্রোফেন এর নাম হলো- ফ্লামেক্স ২০০ মিগ্রা ৫ মিলিতে সিরাপ। বুফেন, প্রোফেন ইত্যাদি নামে পাবেন। মাত্রা নির্ধারনের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণত ১/২ চামচ থেকে ১ চামচ করে দিনে ২ বার আহারের পর সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়। ২-৩ দিন সেবন করলেই চলে, যেহেতু এটা একটা ব্যথানাশক ওষুধ, তাই বেশী দিন খাওয়ার প্রয়োজন হয়না।

মাথা ব্যথার ট্যাবলেট

মাথা ব্যথার নির্দিষ্ট কোন করান নেই, ঘুম কম হলে, মাইগ্রেন এর প্রভাবে বা সাইনাস থেকেও মাথা ব্যথা হতে পারে। আবার অতিরিক্ত টেনশন বা মানসিক চাপ থেকেও হতে পারে। প্রচন্ড রোদের কারনেও মাথা ব্যথা হতে দেখেছি। এর জন্য প্যারাসিটামল ৫০০ মিগ্রা টেবলেট ব্যথা কমার আগ পর্যন্ত দিনে ২-৩ বার খেতে পারেন। সাথে ফ্লুপেনটিক্সল এন্ড মেলিথ্রাসিন এর ট্যাবলেট দিনে ১ টা খেতে পারবেন যখন মাথা ব্যথা হয়। তবে তা সকালে অথবা দূপুরে খাওয়া ভাল।

অনেকের মাইগ্রেন সমস্যা খুবই প্রকোপ, তাই এসব ঔষধে তেমন কাজ করেনা। তাদের জন্য কিছু পরিক্ষা নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে পিজোটোফেন জাতীয় ট্যাবলেট ০.৫ মিগ্রা হলে দিনে ২ বার আর ১.৫ মিগ্রা হলে রাত্রে ১ টা, এভাবে কয়েকদিন খেলে মোটামুটি স্বাভাবিক হতে পারে।

তাতেও যদি ঘনঘন পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন নিউরোলজি ডাক্তার দেখাতে হতে পারে। আপাদত ডাক্তার দেখানোর আগ পর্যন্ত টাফনিল ২০০ মিগ্রা ট্যাবলেট একটা খেতে পারেন। তাৎক্ষণিক মাথা ব্যথা উপশম হবে। সময় এবং সুযোগ করে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে নিতে হবে।

কোমর বা হাটু ব্যথার ট্যাবলেট

অন্যান্য ব্যথার মতো কোমর বা হাটু ব্যথায়ও ইটোরিকক্সিব ৬০-১২০ মিগ্রা ট্যাবলেট খাওয়া যায়, কেটোরোলাকও সেইম পদ্ধতিতে খেতে পারবেন। এখানে আরেকটা ট্যাবলেট খাওয়া যাবে যা হলো – ন্যাপ্রোক্সেন ২৫০-৫০০ পর্যন্ত মিগ্রা হয়ে থাকে। তবে ৩৭৫ ও ৫০০ মিগ্রাতে ইসোমিপ্রাজল ২০ মিগ্রা দেয়া থাকে। তাই যেটাতে ইসোমিপ্রাজল দেয়া থাকে সেটা আহারের পুর্বে সেব্য। আর ন্যাপ্রোক্সেন দিনে ২ বার খেতে হয়। এর বেশী নয়। অবশ্যই ১৫ দিনের বেশী খাওয়া যাবেনা। কারন ন্যাপ্রোক্সেনের সাইড এফেক্ট খুব বেশী।

পিরিয়ডের সময় ব্যথা হলে তার ঔষধ কি

মহিলাদের পিরিয়ডের সময় তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। অবশ্য তার জন্যে অন্য চিকিৎসা আছে, তবুও এই ব্যথার কিছু ঔষধও আছে। পিরিয়ডকালীন ব্যথার জন্য ন্যাপ্রোক্সেন ৫০০ এমজি টেবলেট ১ টা করে ২ বার খালি পেটে খেতে পারেন। তার সাথে এ্যালজিন ৫০ এমজি ট্যাবলেটও দিনে ৩ বার ২ থেকে ৩ দিন পিরিয়ড চলাকালীন ব্যথা থাকা অবস্থায় খেতে পারবেন। এধরণের সমস্যার জন্য অর্থাৎ ব্যথা হালকা হলে এটাই স্বাভাবিক। তবে বেশী হলে একজন গাইনী ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

ঘার ব্যথার টেবলেট কি

ঘার ব্যথা যদি উচ্চরক্তচাপ বা হাইপ্রেসারের কারনে না হয়ে থাকে। তাহলে ঘার হউক কাধে হউক বা ক্রনিক এই সমস্ত ব্যথায় কিডনী সেই ঔষধ হিসাবে প্রায় স্বীকৃত সুলিনডাক ১০০ এমজি টেবলেট দিনে ২ বার খাওয়া যাবে। ২০০ মিগ্রা হলে দিনে ১ বার ভরা পেটে খেতে পারবেন।

ফোলাসহ ব্যথার ঔষধ কি

ফোলাসহ ব্যথা হলে বা মচকে গেলে অথবা যদি থেতলে যায় তাহলে iboprofen ট্যাবলেট ২০০-৪০০ মিলিগ্রাম ১-২ বার খেতে পারবেন। সাথে অবশ্যই এসিডিটি নিরাময়ের জন্য গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে হবে। আইবুপ্রোফেন টেবলেট ৩-৫ দিন এর বেশী খাওয়ার প্রয়োজন হয়না। কয়েকটি আইবুপ্রোফেন জাতীয় ঔষধের নাম লিখে দিচ্ছি – ফ্লামেক্স, bufen, ইন্টাফ্লাম, ইত্যাদি।
আইবুপ্রোফেন এর সিরাপও আছে।

ফোঁড়ার ব্যথার ট্যাবলেট

ফোঁড়া হলে তার ব্যথাও হয় খুব বেশী। এই ব্যথা প্রায় অসহ্য হয়ে দাড়ায়। তাই ভাল একটি ব্যথার ঔষধের প্রয়োজন। কেটোরোলাক, ডাইক্লোফেনাক, এসিক্লোফেনাক আইবুপ্রোফেন এসব ব্যথায় কার্যকর। তবে এগুলো খাওয়ার নিয়মে ভিন্নতা আছে।

বুকে ব্যথার ঔষধের নাম

বুকে ব্যথা হলে কি এটা হার্টের ব্যথা? না, বুকের সব ব্যথা হার্টের ব্যথা নয়। হার্টের ব্যথা হলে, সাথে হালকা শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে, বাম হাতেও ঝিনঝিন করতে পারে। তাছাড়া হার্টের ব্যথা বুকের বামদিকে স্তনের নিচে হতে পারে। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের কারনেও বেশীরভাগ ব্যথা হয়। সাধারণত ইসিজিতে কোন সমস্যা ধরা না পড়লে, এটাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা হিসাবেই ধরা হয়। তীব্র এসিডিটি থেকে এসব ব্যথা হয়ে থাকে। আবার কখনও লাঙ্সের সমস্যা থেকেও বুকে ব্যথা হতে পারে। এজন্য পি/এ চেষ্ট ভিউ একটি এক্সরে করে শিউর হতে পারেন। রোগ ধরা পড়লে একজন মেডিসিন বা বক্ষব্যাধি ডাক্তার অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিবি সেকশন থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন।

আর যদি বড় কোন সমস্যা ধরা না পড়ে, তাহলে ভাল কোন গ্যাষ্টিকের ঔষধ ২ মাস পর্যন্ত খেয়ে যান। এবিষয়ে কোন পরামর্শের প্রয়োজন হলে, বাটন শো করা অবস্থায় টাচ করতে পারেন। ফি দিলেই রিপ্লেতে সবকিছু জেনে ঔষধ সাজেষ্ট করা হয়।

ব্যথার ঔষধের সাইড এফেক্ট কি

ব্যথার ঔষধ বা NSAID জাতীয় ঔষধগুলোর সাইড এফেক্ট খুব বেশী। একটানা দীর্ঘদিন খেলে লিভারে গোলযোগ সহ কিডনীতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা সরাসরী স্টমাকে প্রভাব ফেলে বিধায় এই ঔষধের সাথে এন্টি আলসারেন্ট দেয়া হয়। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়া সেবন করলে বা খালি পেটে এসব ঔষধ সেবন করলে, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই সাবধানে এসব ঔষধ সেবন করবেন। এবং বেশী দিন যেন সেবন করতে না হয়, তার ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কোন ব্যথায় কি ঔষধ খাবেন ডাক্তার তা নির্ধারণ করে দিবেন।

উপরে লিখিত যে ঔষধগুলো দেখেছেন, এখানে অনেক স্থানে গ্রুপ বা মুল উপাদানের নাম লিখা হয়েছে। দোকানে যা দেখবেন, তাতে বড় করে যে নামটা থাকবে সেটা ব্র্যান্ড নেইম, অবশ্য কয়েকটি করে ব্র্যান্ড নেইম দেয়া হয়েছে, যেগুলো সবচেয়ে বেশী প্রেসক্রিপশন হয়। না বুজলে কমেন্টে বলবেন। বুঝানোর চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

ব্যথার হারবাল ঔষধ কি

ব্যথার হারবাল ঔষধ বলতে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ফর্মুলারীকে বুঝায়। ইউনানি ফর্মুলার ঔষধের নাম হাব্বে সুরাঞ্জান। বাত ব্যথাসহ যেকোন মাসুল পেইনে কার্যকর। এদিকে আয়ুর্বেদীক ফর্মুলার ঔষধের নাম – মৃত্যুঞ্জয়ী রস, এবং আরও অনেক পেইন কিলার আছে। যা বাত ও মচকানোর ব্যথায় উপকার পাওয়া যায়। এর মধ্যে “এস্ট্রো পিকে” দারুন কাজ করে।

ব্যথার ঔষধ সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা দেয়া হলো, কোন ব্যথায় কি ঔষধ খাবেন। যা থেকে সব ধরনের ব্যথার ঔষধের সংক্ষিপ্ত বিবরন জানা হলো। সতর্কতা হিসাবে এটুকু বলে রাখবো- ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করা উচিৎ নয়। কোন অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।

আরও পড়ুনমোটা হওয়ার ঔষধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম

Leave a Comment