শতমুলের ভিন্ন নাম শতবরী, ইংরেজি নাম Asparagus যৌন শিথিলতার অন্যতম ভেষজ হিসাবে পরিচিত এই উদ্ভিদের রয়েছে ব্যপক জনপ্রিয়তা। আসুন জেনে নিই শতমুলের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম কি?
শতমুল কেন খায়
হাজার বছর ধরে প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে বর্তমান বৈদ্য ও হারবাল চিকিৎসকগন শতমুলকে যৌনরোগের ভেষজ ঔষধ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছেন। শতমুল শুধু যৌনদূর্বলতার ঔষধ নয়, এটা পুষ্টিকর পথ্যও বটে। শতমুল খেলে শারিরীক ও মানসিক দূর্বলতা দূর হয়।
শতমুলের কাজ কি
শতমুল পুষ্টিহীনতা দূর করে, এটি বলকারক, প্রশান্তিদায়ক, রজঃবর্ধক, বীর্যবর্ধক, রতিশক্তিবর্ধক হিসাবে প্রাচীন কাল থেকে উৎকৃষ্ট হারবাল ঔষধ হিসাবে প্রমানিত। আধুনিক যুগে এসেও এর ব্যর্থতা কেউ প্রমান করতে পারেনি।
এছাড়াও শতমুলের আরও উপকারীতা রয়েছে, যেমন- মুত্রস্বল্পতা, কিডনীর দূর্বলতা, যৌনদূর্বলতা, শুক্রস্বল্পতা, আমাশয়, ডায়রিয়া, অরুচি, এসিডিটি, পুরোনো পেট ব্যথা, পৈত্তিক বদহজম, শরীরে পানি স্বল্পতা, ক্লান্তিভাব, ফুসফুসের শ্লেষ্মাঝিল্লির শুষ্কতা ও পুজ সঞ্চয়, সাদাস্রাব, বাতের ব্যথায় কার্যকরী।
বাংলাদেশ আয়ুর্বেদীক বোর্ড কতৃক আরও কিছু উপকারীতা জানা গেছে। যা কতিপয় ক্যান্সার ও হারপিসের চিকিৎসায় শতমুলের উপকারিতা পাওয়া যায়।
শতমুল খাওয়ার নিয়ম
শতমুল পাউডার হলে ১-২ চামচ করে বিভক্ত মাত্রায় প্রতিদিন ২ বার খেতে পারবেন। তবে প্রতিদিন ৬ চামচ বা ১২ গ্রামের বেশী না খাওয়াই ভাল।
কাঁচা হলে, ছোট সাইজের ৪-৬ টি প্রতিদিন খেতে পারবেন।
শতমুলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি
খুব বেশী উপকারিতা জেনে, কেউ যদি মাত্রাতিরিক্ত পরিমানে শতমুলের পাউডার সেবন করে, তাহলে পাকস্থলীর গোলযোগ ও বমি অথবা বমিবমি ভাব হতে পারে। তাই প্রত্যেক খাবারের একটা পরিমান থাকে, এটা জেনে খাওয়া উচিত। এছাড়া কোন সাইড এফেক্ট এর প্রমান পাওয়া যায়নি।
শতমুল এর ক্ষেত্রে সতর্কতা কি
টিবি বা যক্ষা রোগী অথবা যেকোন বক্ষব্যাধি রোগীদেরকে শতমুল খাওয়া উচিত হবেনা। এছাড়া সকলের জন্যই এটি আদর্শ ও নিরাপদ।
শতমুলের দাম ও কোথায় পাওয়া যায়
শতমুল পাউডার হিসাবে সুপারশপ ও হারবাল ষ্টোরে পাবেন। তাছাড়া (বাজাআফ) বিভিন্ন কোম্পানি শতমুল টেবলেট, ক্যাপসুল, বাজারজাত করে আসছে। যাচাই সাপেক্ষে সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন – বহেরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন